ভর্তি পরীক্ষায় শিবিরের ব্যতিক্রমী সেবা
হাসান আলী, জামালপুর প্রতিনিধি
দীর্ঘ এক যুগ পর জামালপুরে অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। শনিবার (৩১ মে) সকাল ১১টায় জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ কেন্দ্রে এই পরীক্ষা শুরু হয়। কেন্দ্রটিতে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩ হাজার ৯৫৫ জন।
পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতায় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন পরীক্ষাকেন্দ্রের আশেপাশে স্থাপন করে হেল্প ডেস্ক। সংগঠনগুলোর মধ্যে ছিল—বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, গণঅধিকার পরিষদসহ জামালপুর ও শেরপুর জেলার বিভিন্ন ছাত্রকল্যাণ পরিষদ।
তবে সেবার পরিসর, পরিকল্পনা ও দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রশংসা কুড়িয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ শাখা। তাদের আয়োজন ছিল সর্বজনগ্রাহ্য ও মানবিক। হেল্প ডেস্ক থেকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য সরবরাহ করা হয় খাবার স্যালাইন, বিশুদ্ধ পানি, আসন বিন্যাস সংক্রান্ত তথ্য, এডমিট কার্ড প্রিন্ট সুবিধা এবং ফ্রি চিকিৎসা সেবা।
এক শিক্ষার্থী ভুল কেন্দ্রে পৌঁছানোর পর, সময়মতো মূল কেন্দ্রে পৌঁছাতে তাকে শিবিরের ফ্রি মোটরসাইকেল সার্ভিসে পৌঁছে দেওয়া হয়—যা উপস্থিত অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছে।
আয়োজক সংগঠনের এক সদস্য জানান,
“আমরা মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে পরীক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছি। ভবিষ্যতেও এভাবে শিক্ষার্থীদের সেবা দিয়ে যেতে চাই।”
সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের সভাপতি সামসুদ্দীন সুলাইমান বলেন,
“পরীক্ষার দিন বিভিন্ন সংগঠনের অংশগ্রহণ আমাদের আশাবাদী করে তুলেছে। তবে শিবিরের কার্যক্রম ছিল সবচেয়ে সংগঠিত ও ব্যতিক্রমধর্মী। ভবিষ্যতে এমন উদ্যোগ আরও বড় পরিসরে দেখতে চাই।”
পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে ফ্রি কলম ও তথ্যপত্র বিতরণ করে ইসলামী ছাত্রশিবির।
0 মন্তব্যসমূহ